নেতার কাছে
শ্যামল মণ্ডল
************
(ছবি সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ)
ভেবেছি কাল সকালে
যাবো ঐ নেতার কাছে,
জমানো অনেক দাবি
তাঁকে সব বলার আছে,
বলেছে ভোটের আগে
বাড়ি'টা হবে পাকা ,
গরিবের জন্য বাড়ি
লাগে না কোনো টাকা,
আছে যার অট্টালিকা
সে নাকি নেতার দলে,
ভাঙ্গা যার পর্ণকুটির
সে থাকে আস্তাবলে,
পেল ঘর তেমন লোকে
আছে যার অট্টালিকা,
গরিবের জন্য আছে
বানানো গড্ডালিকা,
সেদিনের মঞ্চ থেকে
বলা সেই মিথ্যা বুলি,
বল তো কেমন করে
সহজে আমরা ভুলি।
"কোরো না চিন্তা কিছু
বেকারের চাকরি হবে",
জনতা প্রশ্ন করে
সেদিন আর আসবে কবে?
নাগালে দেয় না ধরা
সে তো আজ মহান-নেতা
।
মাটিতে পা পড়ে-না
পোষাকে আজব-কেতা।
দেখি সব উল্টো পথে,
চলেছে ভেঙে নীতি,
ধর্মের দোহাই দিয়ে,
জনতার জাগায় ভীতি।
সরকারী পদ গুলো সব
হয়ে যায় বেসরকারি,
বেকারের ঘরে ঘরে,
বেড়েছে আধাহারী।
টাকাতে চাকরি মেলে
এখবর হাওয়ায় ভাসে,
দূর্নীতির উচ্চ শিখর
দ্যাখে আর মুচকি হাসে..
জিনিসের দাম বেড়ে যায়,
হয়ে যায় লাগাম ছাড়া,
নেতাটি ভোট পেয়ে আজ
হয়েছে আত্মহারা।
কাল আমায় যেতেই হবে
যাকে ভোট দিয়েছিলাম!
কথিত প্রতিশ্রুতির
ফলতঃ শূন্য পেলাম....
নেতাকে জিজ্ঞাসিব
দুধে তো পাচ্ছো সোনা,
অসুখও সেরে যাবে..
খাওয়ালে গরুর চোনা।
ভাষণের ফুলঝুরি'তে...
নিয়ে ভোট পাল্টি যে খাও?
এসো-না সামনে ভোটে...
এখুনি দূর হয়ে যাও।