আমার জন্ম সময় অন্ধকারময় ছিল ঃ- জন্মের আগে নবদ্বিপ এ ২১ টা তাতের মেসিন নিয়ে কারখানা ছিল মনন্তরে তা বেচে দেওয়া হয় । এবং মালদহের এক গ্রামে ১০৯ বিঘা জমি কেনা হয় । কিছু দিনের ভিতর সমস্ত জমি খাস তালুক এ পরিণত হয়ে বেদখল হয় । এবং তিন একর তিন যায়গা তে ফেরত পাওয়া যায় । বাবা অখুশি হননি কারন তিনি বামপন্থী কর্মী । সে জমি অনুর্বর বন্যা ও খড়া প্রবণ । আমার ছোট কাকা মুদিখানা দোকান চালাতেন , এক সময় জ্বরের ভুল চিকিতসা তে পাকস্থলী ফুটো হয়ে ছোট কাকার মৃত্যু হয় । চিকিতসাতে সমস্ত টাকা খরচ হয়ে যায় । এরই এক মাস বাদে এক অমাবস্যার রাতে ২২/৭/১৯৭১ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টে ১০ মিনিটে আমার জন্ম হয় । এই ঘটনাক্রম সাজানোর মধ্যে কারন আমার জীবন কাহীনির নাম দিয়েছি " মাই হোপলেস লাইফ " কে ফেসবুকে কিছু বন্ধুদের পড়তে বাধ্য করাতে চাই ......ক্রমশ ... শ্যামল মন্ডল
শুরু থেকে আজ কর্ম জীবনেরর সারাংশ ঃ- আজ যা লিখতে ইচ্ছুক তা হোল কিছু কঠিন সময় থেকে নিজেকে বের করে আনা , মাধ্যমিক পাস করেই মালদহের গ্রামের বাড়ি ঘড় গৃহহীন জেলেদের দান করে নবদবীপ (১৯৮৯ ইং ) এ চলে আসি । পরিবারে তখন বাবা ( ৫০% বাক্প্রতিবন্ধী ) ,মা , বোন (১৯৯৬ ইং তে প্রসব কালীন মৃত্যুকে বরণ করে নেয় ।) ও দাদা (ছোট বেলা থেকে নবদবীপ এ কাকার সংসারে বড় হয়েছে । ) আমি উচ্চমাধ্যমিক এ ভর্তি হলাম (১৯৮৯)সামান্য সম্বল দিয়ে চালের দোকান শুরু করা হয় এবং কার প্ররোচনা ও কেন সে দোকান অচিরে বন্ধ হয় তা পরে জানাব । আমার দুর্দশা আবার শুরু হল .ইংরেজী আর রসায়নে ব্যক্তিগত শিক্ষক এর কাছে তিন মাস পড়তে যাই (দ্বাদশ শ্রেনীর বার্ষিক পরিক্ষার তিন মাস আগেই বন্ধ হয় ফী এর অভাবে ) তিন মাস পড়েই নিজের পড়া নিজে কর তে মনকে নিবেশ করি , ফল স্বরুপ উক্ত দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ন হয়েই যাই , প্রথম বছর কমরেড এর কাছ থেকে ৯০।০০ টাকা চেয়ে নিয়ে তবেই পরিক্ষা ফী দিয়ে ছিলাম (আত্বীয় বলতে তিন জন কাকা ) পরের বছর আর কার ও কাছে হাত ও পাতি নি পরিক্ষা ও দেয়া হয় নি (প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথ ম বা দ্বিতীয় হতাম উচ্চবিদ্যালয়ে পাচ ক্রমিক এর মধ্যে থাকতাম , (অষ্টম পাস করে আই টি আই মালদা তে ভর্ত্তীর সুযোগ পাই টাকার অভাবে হাতছাড়া হয় । পড়াশুনার মাঝে চাদশী চিকিতসার বিষয়ে জ্ঞ্যান অর্জন করি এবং তার সাথেই হাতুরি চিকিতসার ব্যাপারে জেনে নিয়ে ছিলাম । চিকিতসক ছিলাম (হাসবেন না দয়াকরে ) ১৯৯১- ১৯৯৪ অবধি । বিয়ে করেছি ৬ই আগাষ্ট ১৯৯৪ এ । সে বছরই চিকিতসার পাট চুকিয়ে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসাবে কাজে লেগে যাই , তিন মাস কাজের পর মিস্ত্রী হয়েছিলাম । অনেক বাড়িতে নকশার প্লাস্টার ও করেছি যা আজ ও বিদ্যমান আমি প্রায়শই সেদিকে তাকিয়ে দেখি আর ভাবি সে দিন গুলোকে ..................
ক্রমশ
...শ্যামল মন্ডল
শুরু থেকে আজ কর্ম জীবনেরর সারাংশ ঃ- আজ যা লিখতে ইচ্ছুক তা হোল কিছু কঠিন সময় থেকে নিজেকে বের করে আনা , মাধ্যমিক পাস করেই মালদহের গ্রামের বাড়ি ঘড় গৃহহীন জেলেদের দান করে নবদবীপ (১৯৮৯ ইং ) এ চলে আসি । পরিবারে তখন বাবা ( ৫০% বাক্প্রতিবন্ধী ) ,মা , বোন (১৯৯৬ ইং তে প্রসব কালীন মৃত্যুকে বরণ করে নেয় ।) ও দাদা (ছোট বেলা থেকে নবদবীপ এ কাকার সংসারে বড় হয়েছে । ) আমি উচ্চমাধ্যমিক এ ভর্তি হলাম (১৯৮৯)সামান্য সম্বল দিয়ে চালের দোকান শুরু করা হয় এবং কার প্ররোচনা ও কেন সে দোকান অচিরে বন্ধ হয় তা পরে জানাব । আমার দুর্দশা আবার শুরু হল .ইংরেজী আর রসায়নে ব্যক্তিগত শিক্ষক এর কাছে তিন মাস পড়তে যাই (দ্বাদশ শ্রেনীর বার্ষিক পরিক্ষার তিন মাস আগেই বন্ধ হয় ফী এর অভাবে ) তিন মাস পড়েই নিজের পড়া নিজে কর তে মনকে নিবেশ করি , ফল স্বরুপ উক্ত দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ন হয়েই যাই , প্রথম বছর কমরেড এর কাছ থেকে ৯০।০০ টাকা চেয়ে নিয়ে তবেই পরিক্ষা ফী দিয়ে ছিলাম (আত্বীয় বলতে তিন জন কাকা ) পরের বছর আর কার ও কাছে হাত ও পাতি নি পরিক্ষা ও দেয়া হয় নি (প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথ ম বা দ্বিতীয় হতাম উচ্চবিদ্যালয়ে পাচ ক্রমিক এর মধ্যে থাকতাম , (অষ্টম পাস করে আই টি আই মালদা তে ভর্ত্তীর সুযোগ পাই টাকার অভাবে হাতছাড়া হয় । পড়াশুনার মাঝে চাদশী চিকিতসার বিষয়ে জ্ঞ্যান অর্জন করি এবং তার সাথেই হাতুরি চিকিতসার ব্যাপারে জেনে নিয়ে ছিলাম । চিকিতসক ছিলাম (হাসবেন না দয়াকরে ) ১৯৯১- ১৯৯৪ অবধি । বিয়ে করেছি ৬ই আগাষ্ট ১৯৯৪ এ । সে বছরই চিকিতসার পাট চুকিয়ে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসাবে কাজে লেগে যাই , তিন মাস কাজের পর মিস্ত্রী হয়েছিলাম । অনেক বাড়িতে নকশার প্লাস্টার ও করেছি যা আজ ও বিদ্যমান আমি প্রায়শই সেদিকে তাকিয়ে দেখি আর ভাবি সে দিন গুলোকে ..................
ক্রমশ
...শ্যামল মন্ডল